top of page
Search

রকেট কিভাবে মহাকাশে উৎক্ষেপণ করা হয় ?

রকেটে মূলত জ্বালানি রিফিলের প্রয়োজন হয় না বা সে সুযোগ নেই। রকেট আমরা যেভাবে দেখি তাতে মূলত একাধিক অংশ থাকে। রকেটে যে জ্বালানি ব্যবহৃত হয় তা হলো তরল হাইড্রোজেন। এছাড়া এতে অনেক সময় তিমি মাছের তেলও ব্যবহৃত হয়। রকেট উৎক্ষেপনের সময়, Combustion Chamber এ তরল হাইড্রোজেন জ্বালিয়ে যে প্রচন্ড Combustion হয় তা নিচের দিক দিয়ে নির্গত হয়। নিউটনের তৃতীয় সূত্র অনুসারে বিপরীত বলের কারণে রকেট তখন প্রবল বেগে উপরে উঠতে থাকে। পৃথিবীর মুক্তিবেগ (প্রায় 11.8 km/s) অতিক্রম করার জন্যই এ পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়। রকেট যখন পৃথিবীর বায়ুমন্ডল ভেদ করে মহাকাশে নির্দিষ্ট উচ্চতায় পৌছে যায় তখন রকেটের মূল অংশটি প্রচন্ড ধাক্কা দিয়ে (জ্বালানি ব্যবহার করে) Combustion Chamber টি হতে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এরপর Chamber টি পৃথিবীতে পতিত হয়। অন্যদিকে রকেটের মূল অংশটি তার লক্ষ্যের দিকে ধাবিত হয়। এই অংশের সমস্ত কার্যক্রমের শক্তির যোগান সৌরবিদ্যুতের মাধ্যমে আসে। কারণ মহাকাশে সূর্যের তাপ, পৃথিবী অপেক্ষা অনেক বেশি। তাই এই সাশ্রয়ী পদ্ধতিই ব্যবহার করা হয়। অনেক ক্ষেত্রে রকেটের মূল অংশটিকে আবারও বিচ্ছিন্ন করার প্রয়োজন হয় ( যেমন কৃত্রিম স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের সময়)। সেক্ষেত্রে মূল অংশে অতিরিক্ত কিছু জ্বালানি রাখা হয় যা দিয়ে সর্বশেষ অংশটিও পূর্বের ন্যায় ধাক্কা দিয়ে আবারো বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এরপর তা সম্পূর্ণভাবে সৌরশক্তির উপর নির্ভর করে চলে। কিন্ত এতে আরো কিছু জ্বালানি থাকে যা ল্যান্ডিং এর সময় গতি নিয়ন্ত্রণে ব্যবহৃত হয়। এই সম্পূর্ন প্রসেসে যে জ্বালানি দরকার তা বিজ্ঞানীরা আগে হতেই হিসাব কষে নির্ণয় করেন। তারপরও জরুরি অবস্থার জন্য রকেটে আরো অতিরিক্ত কিছু জ্বালানিও থাকে । রকেটে সেই হিসাব (প্রয়োজনীয় +জরুরি) অনুযায়ী জ্বালানি দেওয়া হয়। যেহেতু এই জ্বালানি হিসাব কষেই নির্ণয় করে রকেটে ভরা হয়েছে তাই এক্ষেত্রে জ্বালানি ফুরিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই। যদিও ফুরিয়ে যায় তখন জরুরি জ্বালানি ব্যবহৃত হয়। এরপরেও যদি জ্বালানি দরকার হয় তখন রকেটটি বিপদের মুখে পড়ে। তখন বিজ্ঞানীরা অন্য উপায়ে তা রক্ষা করার চেষ্টা করেন। কিন্ত মহাকাশে রকেটে জ্বালানি রিফিলের কোনো সুযোগ নেই। তবে ISS বা International Space Station এর ক্ষেত্রে থ্রাস্টার গুলোকে রিফিউল করা হয়। কিন্ত ISS আর রকেট এক নয়!


4 views0 comments
bottom of page