top of page
Search

কৃষ্ণগহ্বর এক অজানা নাম !

Updated: Sep 28, 2022

ব্যাস সূর্যের ব্যাস 500 ফ্যাক্টর দ্বারা অতিক্রম করে এবং এর পৃষ্ঠের পালানোর বেগ আলোর স্বাভাবিক গতিকে অতিক্রম করে তখন এটি তৈরি হবে।মিশেল এই দেহগুলিকে অন্ধকার তারা হিসাবে উল্লেখ করেছেন। তিনি সঠিকভাবে উল্লেখ করেছেন যে এই ধরনের অতি উচ্চ ভরের কিন্তু অ-বিকিরণকারী দেহগুলি কাছাকাছি দৃশ্যমান দেহগুলিতে তাদের মহাকর্ষীয় প্রভাবের মাধ্যমে সনাক্তযোগ্য হতে পারে। তৎকালীন পণ্ডিতরা প্রাথমিকভাবে এই প্রস্তাবে উত্তেজিত হয়েছিলেন যে বিশাল কিন্তু অদৃশ্য 'অন্ধকার তারা'গুলি সরল দৃশ্যে লুকিয়ে থাকতে পারে, কিন্তু উনবিংশ শতাব্দীর গোড়ার দিকে আলোর তরঙ্গময় প্রকৃতি স্পষ্ট হয়ে উঠলে উত্সাহ কমে যায়, যেন আলো একটি একটি কণার পরিবর্তে তরঙ্গ, এটি অস্পষ্ট ছিল, যদি থাকে, তাহলে আলোক তরঙ্গ থেকে বেরিয়ে আসা অভিকর্ষের প্রভাব কী হবে। এ যাবতকালের মধ্যে খুব কাছাকাছি বিশাল আকারের দুটি কৃষ্ণগহ্বরের সন্ধান পেয়েছেন জ্যোতির্বিদরা। এর দূরত্ব মাত্র ৮ কোটি ৯০ লাখ আলোকবর্ষ। এর অবস্থান এনজিসি ৭৭২৭ নামের ছায়াপথে। এর আগে যেসব কৃষ্ণগহ্বর আবিষ্কৃত হয়েছে তার দূরত্ব ৪৭ কোটি আলোকবর্ষ। ফলে নতুন আবিষ্কার করা কৃষ্ণগহ্বর সবচেয়ে কাছের। তবে এই দুটি কৃষ্ণগহ্বর বা ব্লাকহোলের মধ্যে দূরত্ব ১৬০০ আলোকবর্ষ। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, এই দুটি কৃষ্ণগহ্বর ক্রমশ বড় হবে এবং একটি আরেকটির কাছাকাছি চলে আসছে। একসময় তারা একটি আরেকটির সঙ্গে মিশে যাবে।এর মধ্য দিয়ে দুই কৃষ্ণগহ্বর মিলে একটি বিশাল কৃষ্ণগহ্বরে পরিণত হবে। এই আবিষ্কারের ফলে শুধু এটাই প্রমাণ হয়নি যে, এনজিসি ৭৭২৭ ছায়াপথ এই দুটি ছায়াপথের সমন্বয়ে গড়ে উঠেছে। একই সঙ্গে বিষ্ময়কর সব তথ্য দিচ্ছে যে, কিভাবে বিশাল ভরের ব্লাকহোলগুলো একটির সঙ্গে আরেকটি সংযুক্ত হয়। ফ্রান্সের স্ট্রাসবোর্গ অবজার্ভেটরির জ্যোতির্বিদ কারিনা ভোগেল বলেছেন, প্রথমবারের মতো আমরা দুটি বিশাল ভরের ব্লাকহোলের সন্ধান পেলাম। তারা একটির খুব কাছে রয়েছে আরেকটি। এর আগের ব্লাকহোল বা কৃষ্ণগহ্বরের মধ্যে মিলিত হওয়ার জন্য যে দূরত্ব বলা হয়েছিল, এদের ক্ষেত্রে সেই দূরত্ব অর্ধেকের কম।

বিশাল ভরের এসব কৃষ্ণগহ্বরের জোড়া নিয়ে জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের আগ্রহের বহু কারণ আছে। বেশির ভাগ ছায়াপথেই পাওয়া যায় বিশাল ভরের কৃষ্ণগহ্বর। এটি থাকে কেন্দ্রে- নিউক্লিয়াসের মতো। আর সবকিছু তাকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়। যখন দুটি কৃষ্ণগহ্বর একসঙ্গে দেখা গেছে, তখন এ থেকে ইঙ্গিত মিলেছে যে, দুটি ছায়াপথ একত্রিত হয়েছে। আমরা জানি এ প্রক্রিয়া ঘটমান। মহাকাশে আমাদের সূর্য এর চেয়ে কোটি কোটি গুন ভারি বস্তু আছে। এসব নক্ষত্র বা বস্তু এত অবিশ্বাস্যরকম ভারি কেন হয় তার ব্যাখ্যা করে বিশাল ভরের এমন জোড়া কৃষ্ণগহ্বর। এমন জোড়া কৃষ্ণগহ্বর একটি অন্যটির কাছাকাছি আসতে আসতে তার আকার বৃদ্ধি পেতে থাকে। কিভাবে আকার বৃদ্ধি পায় তা বুঝতে এই ভারি দুটি কৃষ্ণগহ্বর আমাদেরকে সাহায্য করবে। এ থেকে নতুন এবং অধিক নির্ভেজাল মডেল বেরিয়ে আসবে।


 
 
 

Comments


REPRESENTATIVE

International Union of Natural Resources

save.iunr@gmail.com

01944-143880

Sputniks Astronomical Society

astrosociety07@gmail.com

01701-328902

Copyright ©2022 । Aspiring Astronaut Bangladesh । Build with by Mir Lihan Ahmad

  • Facebook
  • LinkedIn
  • Instagram
  • YouTube
  • Vkontakte
bottom of page